ঔপনিবেশিক শাসনে বাংলার ভূমিব্যবস্থার রূপান্তর

নির্মাল্যকুমার মুখোপাধ্যায়

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ঠিক আগের শাসক কেমন রেখেছিলেন বাংলার ভূমি আইন ও ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা? ঠিক তখন কেমন ছিল ঔপনিবেশিক ব্রিটিশের নিজের দেশের ও ইউরোপের প্রধান দেশগুলোর ভূমিব্যবস্থা? ‘৭৬ এর মন্বন্তর শেষ হতে না হতেই কেন ব্রিটিশ ভাবল এদেশে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করার কথা? এটা কি হুবহু ইংল্যান্ডের মডেল ছিল?

সেই মডেল নামাতে গিয়ে কেন এত বিতর্ক হল শাসক দলের ভেতরেই? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ওপর ইউরোপিয়ান শিল্প বিপ্লবের প্রভাব কতটা ছিল? শুধু তাই নয়, বন্দোবস্তের পরেও কেন আমদানি করতে হল অন্তত চল্লিশটা আরও দেওয়ানি আইন? তবু কেন আটকানো গেল না এতগুলো কৃষক বিদ্রোহ? কী ভূমিকা ছিল এদেশীয় রেনেসাঁর আলোয় আলোকিত উচ্চ এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির? চা আর পাট শিল্পের ইতিহাস জুড়ে কেন এত শোষণ চালু হল? জটিল থেকে জটিলতর কেন হল ভূমি আইন? আর কেনই বা শেষে লুপ্ত হতে বাধ্য হল চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত?

এইসব প্রশ্ন বারবার রক্তাক্ত করেছে আমাদের যুক্তিপূর্ণ চেতনাকে। তারই উত্তর খুঁজে পাওয়ার জন্য মায়নাতদন্ত করে চিরে চিরে দেখা হয়েছে ঔপনিবেশিক আইনগুলোকে এই বইয়ের ভেতর।

 

ISBN: 978-81-970553-2-4

HARD BOUND 

FREE DELIVERY 

400Add to cart

নির্মাল্যকুমার মুখোপাধ্যায়

জন্ম নদিয়ায়, বেড়ে ওঠা বারাণসী এবং রানাঘাটে। কর্মসূত্রে ভূমি সংস্কার দপ্তরের বিএলএলআরও থেকে ডেপুটি হয়ে অবসর গ্রহণ। প্রকাশিত পুরস্কারপ্রাপ্ত উপন্যাস—‘শ্লীলতাহানির উত্তরপর্ব’ (ঢাকা, বাংলাদেশ), প্রবন্ধের বই প্রকাশিত গাংচিল পাবলিকেশন থেকে, ভূমি বিষয়ক নানা প্রবন্ধ লেখা হয়েছে ‘অন্য প্রমা’ ‘ভূমিবার্তা’ ও আরও অন্যান্য পত্রিকায়।

ইন্ডিয়া বনাম ভারত এবং অন্যান্য প্রবন্ধ :

ইতিহাসচর্চায় ও ইতিহাস-তরজায়

প্রাক্-ঔপনিবেশিক ভারত

 

কণাদ সিংহ

 

ইতিহাসচর্চা যেমন একটি পেশাদারি গবেষণার বিষয়, তেমন জনপরিসরের আলোচনাও মাঝেমাঝে সরগরম করে তোলে ইতিহাস-বিষয়ক তরজা। ইতিহাসের নানা ভাষ্য উঠে আসে রাজনৈতিক বিতর্কে, পাঠ্যক্রমের সংস্কারে, জনপ্রিয় সিনেমায় বা সাহিত্যে, কিংবা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়া বয়ানে। তাতে কি বিকৃত হয় ইতিহাস? কীভাবেই বা হয় ইতিহাসের গবেষণা? এই বইয়ের আঠারোটি প্রবন্ধ, যার অনেকগুলিই আগে প্রকাশিত হয়েছিল উত্তর-সম্পাদকীয় নিবন্ধ হিসাবে, তুলে ধরেছে ভারতীয় ইতিহাসের নানা বিতর্কিত প্রশ্ন নিয়ে ঐতিহাসিক গবেষণার নানা দিক। ভারত না ইন্ডিয়া কোন নামটি ইতিহাসসম্মত, হরপ্পা সভ্যতা ও বৈদিক সভ্যতার মধ্যে সম্পর্ক কী, মহাভারত বা রামায়ণ কীভাবে ব্যবহৃত হতে পারে ইতিহাসের গবেষণায়, ভারতীয় ইতিহাসের যুগবিভাজন কীভাবে কাটিয়ে উঠল ঔপনিবেশিক প্রভাব, কীভাবে হবে গুপ্তযুগ বা সুলতানি আমলের ঐতিহাসিক মূল্যায়ন, সর্বভারতীয় সাম্রাজ্যশাসনে কোন আদর্শ অবলম্বন করেছিলেন অশোক কিংবা আকবর— এরকম নানা বিষয়ে আলোচনা পাবেন এই বইতে।

HARD BINDING

ISBN : 978-81-970553-1-7

FREE DELIVERY

320Add to cart

কণাদ সিংহ

ইতিহাসবিদ, প্রাবন্ধিক, কবি কণাদ সিংহ কলকাতার সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন ভারতীয় ও বিশ্ব ইতিহাসের শিক্ষক। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর মহাভারত ও ইতিহাস-পুরাণ পরম্পরা বিষয়ক গবেষণার গ্রন্থরূপ ‘ফ্রম দাশরাজ্ঞ টু কুরুক্ষেত্র: মেকিং অফ আ হিস্টোরিকাল ট্র্যাডিশন’ (অক্সফোর্ড, ২০২১) কারোয়াঁ বুক প্রাইজ (২০২২) পেয়েছে। ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেস তাঁকে দু-বার (২০১৬, ২০১৭) ‘বিজয়কুমার ঠাকুর স্মৃতি’ পুরস্কারে সম্মানিত করেছে। কণাদ ‘স্টেট, পাওয়ার অ্যান্ড লেজিটিমেসি: দ্য গুপ্ত কিংডম’ (প্রাইমাস, ২০১৯) বইটিরও অন্যতম সম্পাদক। এছাড়া কণাদ ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’, ‘দ্য টেলিগ্রাফ’, ‘এই সময়’ প্রভৃতি সংবাদপত্রেও নিয়মিতভাবে ইতিহাস-বিষয়ক নিবন্ধ লেখেন। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ইতিহাস-পুরাণ বিষয়ে বাংলা কবিতা-সংকলন ‘কেননা কুয়াশা আজ প্রত্যেকের মনে’ (পঞ্চালিকা, ২০২৩) ও প্রবন্ধ-সংকলন ‘বাল্মীকি, ব্যাস ও আমরা: ইতিহাস-পুরাণ বিষয়ক ছটি প্রবন্ধ’ (একতারা, ২০২৪)।

Folk Deities and Matrika Cult of South-West Bengal

 

Soma Mukhopadhyay

 

The present book that is a revised version of Dr. Soma Mukhopadhyay’s Ph.D dissertation intends to delve deeper into the study relating to the folk deities of South West Bengal. The book specially deals with the various manifestations of the Mother Goddess worshipped in the three districts of Bankura, Purulia and West Midnapore. The author has undertaken rigorous and extensive field work that is explicitly visible in her writing. The book also reviews the impact of the existing literature on the folk practices and the relations between these two traditions which has resulted in opening up of various aspects of the concerned area of research.

ISBN: 978-81-956794-9-2

HARD BINDING

FREE DELIVERY 

320Add to cart

Soma Mukhopadhyay

Soma Mukhopadhyay was born in Kolkata in 1965. She received Ph.D degree from the History Department of Jadavpur University in 1999. She has been researching on regional history, folk art history, women history etc. for three decades. She wrote several books and articles. Received Manyabar Award, Sufia Khatun Award, Sanjukta Basu Memorial Award and Dr Bhaskar Chatterjee Memorial Award for cultural practice.

স্বদেশী যুগের স্মৃতি

শ্রীমতিলাল রায়

সম্পাদনা : দীপাঞ্জন বাগ

 

এক শানিত প্রতিরোধ ও প্রতিস্পর্ধায় কেটেছে যে সময় এ তারই কথা। স্মৃতির পর স্মৃতি, নিরন্তর চলাচলে সজীব এক জীবনের কথায় ভরে ওঠে এ আখ্যান। সময়ের রেখা ধরে জীবনকথাই তো পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ইতিহাস হয়ে থেকে যায়। কখনও প্রশ্ন, কখনও আবেগ আবার কখনও বা বাস্তবতা সব কিছু মিলিয়েই মতিলাল রায়ের ‘স্বদেশী যুগের স্মৃতি’।

PAPERBACK

ISBN: 978-81-970553-0-0

FREE DELIVERY

200Add to cart

দীপাঞ্জন বাগ

দীপাঞ্জন বাগ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ, এমফিল সমাপ্ত করেন। পেশাদার ইতিহাস চর্চায় মগ্ন, নানা একাডেমিক জার্নাল ও পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। তাঁর গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘বাঙালির পশ্চিম : হাওয়াবদল থেকে উপনিবেশ (১৮৮০-১৯৬০)’ (প্রকাশক: পঞ্চালিকা প্রকাশনী, মে ২০২২) যা ঐতিহাসিক ও গবেষক মহলে উচ্চপ্রশংসিত।

দেবী দুর্গার উৎস সন্ধানে

পুরাণকাল থেকে সমকাল

সৌভিক দে

 

বাঙালির শ্রেষ্ঠতম আবেগের নাম শারদীয়া দুর্গোৎসব। ভারতবর্ষের এই বৃহত্তম উৎসব ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা লাভ করেছে। যাকে পোশাকি ভাষায় বলে ‘Intangible Cultural Heritage of Humanity’ বা ‘সমগ্র মানবসভ্যতার অসীম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’। দুর্গা সংস্কৃতির এই অসীম ঐতিহ্যকে অনুভব করতে হলে তার ইতিহাস জানা একান্ত জরুরি। প্রত্নতত্ত্বে দুর্গা, বেদ-পুরাণের দুর্গার পাশাপাশি এই দেশ ও রাজ্যের দুর্গাকেন্দ্রিক বিভিন্ন আরাধনার ধারাগুলো নিয়ে যথেষ্ট তথ্যসমৃদ্ধ বিশ্লেষণ রয়েছে এই গ্রন্থে। এছাড়া এতে রয়েছে বাংলার দুর্গা আরাধনার ক্রমবিবর্তন, বনেদি বাড়ি থেকে বারোয়ারি হয়ে সর্বজনীন পুজো, উল্লেখযোগ্য সব দুর্গা মন্দির, আগমনি গান, বৈচিত্র্যময় দুর্গামূর্তি নিয়ে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। শুধু তাই নয়, দুর্গাকেন্দ্রিক চিত্রকলা ও ভাস্কর্য নিয়েও রয়েছে মনোজ্ঞ ব্যাখ্যা। রয়েছে মহিষাসুর নিয়ে যুক্তিযুক্ত তথ্যভিত্তিক অনুসন্ধান। দুই মলাটের মধ্যে দুর্গা নিয়ে এত কিছু ইতিপূর্বে প্রায় হয়নি বললেই চলে। সমস্তটা পড়ে পাঠককূল নিশ্চিতরূপে উপকৃত হবেন।

HARD BOUND

ISBN- 978-81-970553-3-1

FREE DELIVERY

280Add to cart

সৌভিক দে

জন্ম ১৯৭৯ সালের মে মাসে, কলকাতায়। এই শহরের পাঠভবনে পড়াশোনা, সরকারি আর্ট কলেজে শিল্পকলা শিক্ষা গ্রহণ। কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন শিল্প-প্রদর্শনশালায় সৌভিকের আঁকা প্রদর্শিত; তা ভারত ও ভারতের বাইরে বহু শিল্পরসিকের সংগ্রহে রয়েছে। কর্ম-জীবনের প্রথম দিকে প্ৰচ্ছদ ও অলংকরণ করে কেটেছিল—‘আনন্দ পাবলিশার্স’, ‘আনন্দমেলা’ ইত্যাদিতে। বর্তমানে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের শিল্পকলা বিভাগের শিক্ষক সৌভিকের সাহিত্য জীবন শুরু কবিতা লিখে; তাঁর বেশ কিছু ‘কৃত্তিবাস’, ‘ভাষাবন্ধন’, ‘কবিতা বারোমাস’ ইত্যাদিতে প্রকাশিত। প্রবন্ধসমূহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশের পর প্রশংসিত। প্রকাশিত গ্রন্থ—সাধক কবির জীবন ও সঙ্গীত, জগন্নাথের ক্রমবিকাশ ও চৈতন্য বৃত্তান্ত।

জগৎ কবিরাজ বিরচিত

ঝুমুর

 

অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়

 

পূর্বভারতে গুরুত্বপূর্ণ লোকসংগীতগুলির অন্যতম হল ঝুমুর। প্রাচীন কাল থেকে এর সমৃদ্ধি ও প্রসার।

খুব প্রাচীনকালের কবি নন জগৎচন্দ্র সেনগুপ্ত। তাঁর মৃত্যু তো গত শতকের চল্লিশের দশকে বাংলা আধুনিক কবিতার দিক পরিবর্তনের সময়ের পর্বে। জগৎচন্দ্র মানভূম-বাঁকুড়ার কবি। এক বিশেষ গোত্রের কবিতা তাঁর মেধার বিনিয়োগ হয়েছিল। তাঁর কাব্য মানভূম অঞ্চলের সংস্কৃতি বৃত্তের সঙ্গে যুক্ত। পরম্পরায় হৃদ্ধ সেই সাংস্কৃতিক মণ্ডলে তিনি পুরোপুরি স্বভাব কবিও নন, বরং নানা সাংস্কৃতিক সুত্রের বন্ধনে ও চর্চার পরম্পরার আশ্রয়ে লালিত ঝুমুর গীতিকে তিনি নিজস্ব চিন্তার শৈলীতে সমৃদ্ধ করেছিলেন।

 

PAPERBACK

ISBN- 978-81-963350-6-9

FREE DELIVERY

 

200Add to cart

অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়

অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায় : জন্ম ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বাঁকুড়ার হাটগ্রামে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর। পিএইচডি করেছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। গবেষণার বিষয় ছিল—মল্লভূমের অপ্রকাশিত ও অনালোচিত ইতিহাস (১৫৬০-১৭৬০)। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক। শিক্ষকতা করেছেন সবং-এর সার্তা তারকনাথ ইনস্টিটিউশন, পুরুলিয়ার মহাড়া হাই স্কুল, চাতরা রামাই পণ্ডিত কলেজ ও বাঁকুড়া খ্রিশ্চান কলেজে। দৈনিক পত্রিকায় সাংবাদিকতা দিয়ে লেখালেখির সূচনা। আগ্রহ পুথি ও পুরাতত্ত্বে। বর্তমানে প্রথম সারির সমস্ত পত্রিকা সহ সম্ভ্রান্ত সকল গবেষণাধর্মী পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ লেখক। সংগৃহীত পুথির সংখ্যা প্রায় হাজার। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাহিত্য সাধক চরিতমালার অন্তর্ভুক্ত গ্রন্থ যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি (২০০৯), ফকিররামের সত্যপিরের পাঁচালি (২০১২), বাঁকুড়া-লক্ষ্মী (২০১৬), দ্বিজ কবিচন্দ্র-র কপিলামঙ্গল (২০১৭), জগন্নাথ দাস বিরচিত প্রেমদর্পণ (২০১৮)। দীন বৃন্দাবন দাসের তত্ত্বসার (২০২০), জীবন চক্রবর্তীর শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল (২০২০), জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল (২০২০), শানবান্দা গ্রামের ইতিবৃত্ত (২০২০), তত্ত্ববিলাস, যোগ্যদা বন্দনা, রমানাথ বিরচিত সাবিত্রীপালা (মহাভারত) (২০২৩)। একাধিক সম্মানে সম্মানিত।

মহানগর বিচিত্রা : উনিশ শতকের কলকাতা

 

বিদিশা চক্রবর্তী

 

কলকাতার নাম বাংলা বা ফার্সি সাহিত্যে ও ইতিহাসে পঞ্চদশ শতকেই উল্লেখ পাওয়া যায়। কিন্তু এ কথা অনস্বীকার্য যে কলকাতার নগরায়ণ ঘটে ব্রিটিশ শক্তির হাত ধরে। তবে নগরায়ণ মানে তো শুধুমাত্র সড়কপথ, সেতু, জলাধার প্রভৃতি পরিকাঠামোগত নির্মাণ নয়, তার আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিবর্তনও এই ইতিহাসের অংশ। আর তাই পানীয় জলের ব্যবস্থা, বস্তি উন্নয়ন, নতুন নির্মাণের জন্য উচ্ছেদের সাথে নতুন নগরের অপরাধের নানান বৈশিষ্ট্যসহ আলোচিত হয়েছে নতুন ধারার শিক্ষাব্যবস্থা, সেই শিক্ষাগ্রহণ করতে আসা গ্রাম-মফস্‌সলের ছাত্রদের বাসস্থান হিসাবে ‘মেস’-এর উত্থান কীভাবে হয়েছিল, কেন হয়েছিল, সেক্ষেত্রে সরকারি ভূমিকা কতটা দায়ী ছিল। ঔপনিবেশিক কলকাতার শাসকজাতির জগৎ কী একমাত্রিক ছিল? তাদের পরিচয় কী কেবলমাত্র শাসক হিসাবে? সেই জগতে শ্রেণিবিভাজন কীভাবে ছিল, সরকারি তরফে কেন এবং কীভাবে গরীব ‘সাহেব’দের জন্য শিক্ষাব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছিল এই গ্রন্থে সেই আলোচনা স্থান পেয়েছে।

Hard Bound

ISBN: 978-81-963350-3-8

FREE DELIVERY

280Add to cart

বিদিশা চক্রবর্তী

বিদিশা চক্রবর্তী (১৯৬৩- ) প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস নিয়ে শিক্ষাগ্রহণ করে গত ত্রিশ দশকের বেশি রাজ্য সরকারি মহাফেজখানায় কর্মরত। উনিশ শতকের বাংলার বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক বিষয় নিয়ে উৎসাহী। উনিশ শতকের কলকাতার ওপর যৌথভাবে ড. শমির্ষ্ঠা দে-র সাথে দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন—Calcutta in the Nineteenth Century—An Archival Exploration এবং Calcutta—The Emerging Metropolis in Colonial Period (Looking Through Archives). তাঁর অন্যান্য প্রকাশনাগুলি হল— Prey to Prostitution—Hindu Widows and Kulin Girls; কোম্পানি আমলে কলকাতার বাজার—বিবাদ ও সংঘর্ষ ১৮০০-১৮৫০; পতিতাবৃত্তির উৎস সন্ধানে—উনিশ শতকের বাংলা। এছাড়া এই বিষয়গুলির ওপর বিভিন্ন সম্পাদিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকায় লিখেছেন।

প্রান্তিক মানুষ ও পরিবর্তিত রাষ্ট্রব্যবস্থা : অস্তিত্বের রাজনীতির ভিন্ন বয়ান

 

অনিন্দিতা ঘোষাল 

 

বিশ্বজুড়ে এক অশান্ত সময়ের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে মানুষের জীবন। যে বিষয়কে ঘিরে আসলে সর্বস্তরে আলোচনা, সমালোচনা, আন্দোলন, সংগ্রাম এবং প্রতিবাদের ঘটনার কথা উঠে আসছে, তা হল রাষ্ট্রীয় নীতি, তার অনুশাসন বা অপশাসনের নিরিখে জনসাধারণের মতামত প্রদর্শনের চেষ্টা। এই টানাপোড়েনের অভিঘাত আশ্চর্যরকম ভাবে উঠে আসছে রাজনৈতিক নেতৃত্বে থাকা গুটিকয় ক্ষমতাশীল মানুষদের মতামত প্রদান থেকে শুরু করে, মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই করা সংগঠনের মুখপাত্রদের বক্তব্যে, সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের ভাষায় বা জীবনযুদ্ধে তাঁদের আপাত হেরে যাওয়ার অসহায়তাজনিত কান্নায়।

এই বইয়ে ব্যবহৃত প্রবন্ধগুলো লেখার সময়কাল ২০১৭-২০২৩। আশ্চর্যজনক ভাবে এই সময়ে জাতিস্বত্বার রাজনীতি থেকে জাতিগত বিরোধিতা, সম্প্রদায়গত হিংসার চরিত্র পাল্টানোর বহু এবং ভিন্ন-ধর্মী ঘটনার সাক্ষী থেকেছে সারা পৃথিবী। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো তো বটেই। দেশভাগ পরবর্তী ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে তার ছাপ স্পষ্ট। সেই পরিপ্রেক্ষিত থেকে, এই বই একাধারে ইঙ্গিতবাহী, এক পরিবর্তিত সময়ের দলিল হিসেবে। অন্যদিকে প্রান্তিক মানুষদের আরও প্রান্তজীবী হয়ে ওঠার বাস্তবরূপ আসলে ইতিহাসের আখ্যানে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, সে বিষয়েও ভবিষ্যতে পাঠককুলকে চিন্তার খোরাক জোগাতে পারে এই বই।

ISBN: 978-81-963350-7-6

Hard Bound

FREE DELIVERY

 

280Add to cart

অনিন্দিতা ঘোষাল

অনিন্দিতা ঘোষাল কলকাতার ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক পদে বর্তমানে কর্মরত। তাঁর গবেষণার আগ্রহ মূলত দেশভাগ ও শরণার্থী সম্পর্কিত বিষয়ে। এছাড়াও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা, বিভিন্ন ধরনের প্রান্তিক মানুষদের জীবনযাত্রা, সংগ্রাম, তাঁদের চিন্তার ধরন এবং মানসিকতা বোঝার চেষ্টা, গবেষক হিসেবে তাঁর বিশেষ আগ্রহের বিষয়।

Draupadī in the Bhārata & Cultural Memory

Indrajit Bandyopadhyay

 

Draupadī provokes thought and wonder even today, as evident from how she is remembered and interpreted every now and then in different cultural references, allusions and art genres. The author takes the rational-spiritual and comparative-analytical approach of the text to understand how Vyāsa depicts her, how as Kṛṣṇā she qualifies as Vāsudeva-Kṛṣṇa’s Sakhi, the mystery of her birth-myth, the purpose of her exceptional and unconventional polyandrous marriage, her proactive role in the life of the Pāṇḍavas and particularly in the Dice-Game episode, and how her powerful impact leads to the Kurukṣetra War. The author understands the Mahābhārata as an itihāsa-narrative on gender war as much the perceived male-male war, and Draupadī as the Vāc-Sarasvatī of the Mahābhārata connecting the Vedān Pañcamān with the Vedas. With such understanding, the author traces the depiction of Draupadī in cultural memory, in classical Sanskrit literature, in Buddhist and Jain literature, in puraṇas, in temple sculptures and bas-reliefs.

HARD BOUND

ISBN: 978-81-963350-9-0

FREE DELIVERY

 

480Add to cart

Indrajit Bandyopadhyay

Indrajit Bandyopadhyay. DOB 28.08.1970. Graduating from Serampore Missionary College in 1992, he did Masters in English Literature from the University of Calcutta in 1995, and LLB from the University of Burdwan in 1998. He served the Government of West Bengal as Child Development Project Officer from 1998 to 2001. He joined Kalyani Mahavidyalaya as Lecturer in English in 2001. Currently he is Associate Professor in English and HOD. He is an ardent traveller and writer, with e-books in English and five books in vernacular to his credit. His research area is the Mahābhārata, Folk Mahābhārata and ancient Indian literature. He takes interest in itihāsa and archeology. He has publications in reputed journals. He regularly writes blogs, webzine articles and travelogues.

রমানাথ বিরচিত মহাভারত ( সাবিত্রী পালা)

 

অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়

 

‘মহত্ত্বাদ্ ভারবত্ত্বাচ্ চ মহাভারতঃ উচ্যতে’— মহত্ত্ব ও ভারবত্ত্বার জন্য নাম হয়েছে মহাভারত। আদিতে মহাভারতের শ্লোকসংখ্যা ছিল ৮৮০০। বর্তমানে শ্লোকসংখ্যা একলক্ষ। বর্তমান মহাভারতে আঠারোটি পর্ব আছে। তন্মধ্যে বনপর্বে আছে সাবিত্রী উপাখ্যান। বনপর্বে ৩১৪টি অধ্যায় আছে। সাবিত্রীর উপাখ্যানটি অবতারণার কারণটি হল, যুধিষ্ঠিরের শিক্ষালাভ। বুদ্ধদেব বসু বনপর্বের বনটিকে বলেছেন যেন এক বিশ্ববিদ্যালয়। যুধিষ্ঠির এই অরণ্যভূমিতে বা বনপর্বে বহু জ্ঞানী ঋষিদের মুখোমুখি হয়েছেন এবং তাঁদের কাছে নানা জ্ঞানলাভ করেছেন। পরিশেষে তাঁকে সেই জ্ঞানের পরীক্ষা দিতে হয়েছে বকরূপী ধর্মের কাছে এবং পাশ করতে হয়েছে। যুধিষ্ঠিরের জিজ্ঞাস্য ছিল, দ্রৌপদীর সমতুল্য আর কী কেউ আছে? মার্কণ্ডেয় মুনি তখন সাবিত্রী উপাখ্যান শোনালেন এবং বললেন— ‘দ্রৌপদীর সমতুল্য জান সাবিত্রীরে’।

মূলের অনেক সংক্ষিপ্ত অনুবাদ কাশীরাম দাসের বনপর্ব। প্রাগাধুনিককালে মহাভারতের তিনরকম পাঠ চালু ছিল বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম জেলায়—সংস্কৃত ভাষায় বাংলা হরফে মূল মহাভারত, বাংলা ভাবানুবাদ ও বঙ্গাক্ষরে ওড়িয়া ভাষায় ওড়িয়া মহাভারত। এই তিন জেলায় প্রচুর সংখ্যক উৎকল বা ওড়িয়াদের বসবাস। তাই বাংলা ও ওড়িয়া দু ভাষাতেই মহাভারতের বঙ্গানুবাদ ঘটেছিল বঙ্গদেশীয় কবিদের দ্বারা। এই অঞ্চলের বঙ্গভাযী উৎকল সম্প্রদায় মধ্যযুগে সাহিত্য চর্চা করেছেন তিনটি ভাষায়— ওড়িয়া, বাংলা ও সংস্কৃত। তিন ভাষাতেই মহাভারত চর্চা তাঁরা করেছেন। উৎকল কায়স্থদের একাংশ লিপিকর ছিলেন; যেমন মণ্ডলকুলির দত্তরা। তাঁদের অনুলিখিত পুঁথিতে কখনও কখনও তাঁদের মুখের ভাষাও ঢুকেছে। তেমনি উৎকল ব্রাহ্মণরা বেশ উঁচু মানের গায়ক ও পাঠক ছিলেন। তাঁদের কণ্ঠস্বর, স্বরক্ষেপণ ও সংস্কৃত জ্ঞান অসাধারণ ছিল। আমাদের এই পুঁথিটির গায়েন দাস দামোদর ‘মধুকণ্ঠ’ উৎকল ব্রাহ্মণ ছিলেন অনুমান হয়। তাই এতেও কিছু মানভূমি ওড়িয়া-বাংলা শব্দ ঢুকেছে। ‘মানভূমি-ওড়িয়া-বাংলা ভাষা’—বোঝা যাবে ক্ষেত্রানুসন্ধান করলে। অধুনা ইঁদপুর-ছাতনা-হিড়বাঁধ-খাতড়া-মানবাজার মহকুমা সংলগ্ন অঞ্চলে উৎকল সম্প্রদায়ের মুখের ভাষার স্বাতন্ত্র্য এখনও বজায় রয়েছে।

 

PAPER BACK

ISBN:  978-81-956794-7-8

FREE DELIVERY 

200Add to cart

অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়

অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায় : জন্ম ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বাঁকুড়ার হাটগ্রামে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক। শিক্ষকতা করেছেন সবং-এর সার্তা তারকনাথ ইনস্টিটিউশন, পুরুলিয়ার মহাড়া হাই স্কুল, চাতরা রামাই পণ্ডিত কলেজ ও বাঁকুড়া খ্রিশ্চান কলেজে। দৈনিক পত্রিকায় সাংবাদিকতা দিয়ে লেখালেখির সূচনা। আগ্রহ পুথি ও পুরাতত্ত্বে। বর্তমানে প্রথম সারির সমস্ত পত্রিকা সহ সম্ভ্রান্ত সকল গবেষণাধর্মী পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ লেখক। সংগৃহীত পুথির সংখ্যা প্রায় হাজার। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাহিত্য সাধক চরিতমালার অন্তর্ভুক্ত গ্রন্থ যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি (২০০৯), ফকিররামের সত্যপিরের পাঁচালি (২০১২), বাঁকুড়া-লক্ষ্মী (২০১৬), দ্বিজ কবিচন্দ্র-র কপিলামঙ্গল (২০১৭), জগন্নাথ দাস বিরচিত প্রেমদর্পণ (২০১৮)। দীন বৃন্দাবন দাসের তত্ত্বসার (২০২০), জীবন চক্রবর্তীর শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল (২০২০), জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল (২০২০), শানবান্দা গ্রামের ইতিবৃত্ত (২০২০), তত্ত্ববিলাস, যোগ্যদা বন্দনা। একাধিক সম্মানে সম্মানিত।

কাশীবৃত্তান্ত : পুরাণকাল থেকে সমকাল

সম্পাদনা 

শ্যামলেন্দু চৌধুরি

কাশী—যে  জনপদের সঙ্গে দীর্ঘ যুগ ধরে বাঙালির আত্মিক-যোগ। ‘বার্ধক্যে বারাণসী’ শব্দবন্ধটি এখন বাংলা প্রবাদে পরিণত। তবে বাঙালি শুধু বার্ধক্যেই বারাণসী যাত্রা করতেন এমন নয়। কাশীতে বাঙালিরা গড়ে তুলেছিলেন তাঁদের নিজস্ব অভিজ্ঞান—বাঙালিটোলা। সাহিত্যে, সিনেমায়, বাঙালি মননে কাশী বহু যুগ ধরেই নানা ভাবে ছাপ রেখেছে। ‘কাশীবৃত্তান্ত : পুরাণকাল থেকে সমকাল’ গ্রন্থটি কাশীর বিভিন্ন বিষয়ের ওপর এক উজ্জ্বল আলোকপাত। পৌরাণিক যুগ থেকে হাল আমলের কাশী কীভাবে আজও নিজেকে আপন বৈশিষ্ট্যে বাঁচিয়ে রেখেছে, তারই অনুপুঙ্খ পর্যালোচনা।

ISBN: 978-81-963350-2-1

HARD BINDING

FREE DELIVERY

400Add to cart

শ্যামলেন্দু চৌধুরি

শ্যামলেন্দু চৌধুরি : জন্ম হুগলি জেলার উত্তরপাড়ায়। পিতা দেবপ্রসাদ চৌধুরি, মাতা কল্পনা চৌধুরি। কর্মজীবনে ‘কিশোর ভারতী’, ‘কিশোর মন’, ‘সাপ্তাহিক পরিবর্তন’ পত্রিকায় লেখক, সম্পাদনা-সহযোগী এবং সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। সিনেমা-পাক্ষিক ‘আনন্দলোক’ পত্রিকার সঙ্গেও লেখক হিসেবে যুক্ত ছিলেন। ‘বাংলার মৃত্তিকা’ পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদকও ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত গল্প-উপন্যাস-কবিতা লিখে থাকেন। সম্পাদিত গ্রন্থ : মাস্টারমশাই, মুদ্রারাক্ষস, জাতক-কাহিনী, রামায়ণের উপাখ্যান, মহাভারতের উপাখ্যান। পাঁচ খণ্ডে অনূদিত ‘রামচরিতমানস’-এরও অন্যতম সম্পাদক। প্রকাশিত কিশোর উপন্যাস—শঙ্খু।

রামায়ণের উপাখ্যান

 

সারানুবাদ: রাজশেখর বসু

সম্পাদনাঃ শ্যামলেন্দু চৌধুরি

রামায়ণ-মহাভারতে প্রচুর উপাখ্যান। এই উপাখ্যানগুলি মূল কাহিনির অংশ না হলেও ঘটনা-আবর্ত বুঝতে আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করে। অনেক উপাখ্যান সামান্য ভিন্নভাবে দুটি মহাকাব্যেই আছে, এমন উদাহরণও কম নয়। আবার কিছু উপাখ্যান সামান্য পরিবর্তিত হয়ে হরিবংশসহ বিভিন্ন পুরাণে সংকলিত হয়েছে।

এই গ্রন্থে আমরা রামায়ণে যে দব উপাখ্যান আছে, শুধুমাত্র সেগুলিই সংকলিত করেছি। তৎকালীন আর্যায়িত ভারত ও তার জনমানসকে বুঝতে এই উপাখ্যানগুলি পাঠককে প্রভূত সাহায্য করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

ISBN 978-81-963350-1-4

PAPER BACK 

FREE DELIVERY

200Add to cart

রাজশেখর বসু

রাজশেখর বসুর জন্ম ১৮. ৩. ১৮৮০, বর্ধমানের বামুনপাড়ায়। পিতা চন্দ্রশেখর বসু ছিলেন দ্বারভাঙা রাজ এস্টেটের ম্যানেজার, দার্শনিক, পণ্ডিত ও সুলেখক। মাতা লক্ষ্মীমণি। রাজশেখর বসু রসায়নে এমএ পরীক্ষা দেন। কেননা তখনও এমএসসি কোর্স চালু হয়নি। তিনি এই পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। পড়ে বিএল পাস করে কিছুদিন আইন ব্যাবসাও করেছেন। বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস-এ সামান্য বেতনে নিযুক্ত হয়ে স্বীয় দক্ষতায় উক্ত কোম্পানির পরিচালকও হন। বংলা সাহিত্যে ‘পরশুরাম’ ছদ্মনামে রসরচনার জন্য তিনি খ্যাতিমান। বাংলা অভিধান ‘চলন্তিকা’ তাঁর আর একটি অসামান্য কীর্তি। রবীন্দ্র পুরষ্কার, একাডেমি পুরষ্কার এবং পদ্মভূষণ সম্মানও পেয়েছেন। ২৭. ৪. ১৯৬০ তারিখে তিনি পরলোক গমন করেন।

ভূপ্রত্নতত্ত্বের আলোকে দেবলগড়

 

সম্পাদনা: বিশ্বজিৎ রায়

 

নদিয়া জেলার ‘দেবলগড়’ আজ এক সাড়া জাগানো নাম। কুষাণ যুগ, গুপ্ত যুগ থেকে শুরু করে পাল-সেন যুগের অজস্র নিদর্শন চাপা পড়ে রয়েছে এর জঙ্গল আর নদীনালা ঘেরা মাটির গভীরে। না, আজ পর্যন্ত কোনও উৎখনন হয়নি। দশকের পর দশক ধরে বেরিয়ে আসছে বিরাট প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ, নগরীর অবশেষ, মুদ্রা, অস্ত্রসহ অজস্র প্রত্ন নিদর্শন। কী দেবলগড়ের প্রত্ন পরিচয়? এই কি হারিয়ে যাওয়া সেন রাজধানী—বিজয়পুর যা আক্রমণ করেছিলেন বখতিয়ার খিলজী? প্রাচীন বঙ্গের অন্যান্য অংশের সাথে কেমন ছিল এর সম্পর্ক? গঙ্গা-যমুনা-মরালি-ইছামতি ঘেরা এই স্থানের সাথে উত্তরবঙ্গ এবং রাঢ়বঙ্গের যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল কোন পথে? সমগ্র বঙ্গের প্রেক্ষাপটে কী ছিল দেবলগড়ের সামাজিক-ধর্মীয়-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিচয়?

কলম ধরলেন দুই বাংলার প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞরা, যারা দেবলগড়কে দীর্ঘদিন ধরে চিনেছেন, জেনেছেন। হাজার বছরের নদনদীর বদলে যাওয়া, ভূমিরূপের বদলে যাওয়ার সাথে সাথে সভ্যতার বিবর্তন বিশ্লেষিত হল ভূপ্রত্নতত্ত্বের আলোকে।

ভিন্ন ভিন্ন মতকে এক সুতোয় গেঁথে এ বই আপনাকে নিয়ে যাবে প্রাচীন বঙ্গের অনাবিষ্কৃত রহস্য উদ্ধারের সঠিক দিশাতেই।

HARD BOUND 
ISBN:  978-81-956794-8-5
FREE DELIVERY 

 

400Add to cart

ড. বিশ্বজিৎ রায়

বাংলার ভূপ্রত্নচর্চায় ড. বিশ্বজিৎ রায় আজ এক পরিচিত নাম। শিক্ষকতার সাথে যুক্ত আছেন ২০০৬ সাল থেকে, বর্তমান কর্মস্থল আলিপুরদুয়ার জেলার পীযুষ কান্তি মুখার্জি মহাবিদ্যালয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেবলগড় চর্চা করে চলেছেন তিনি। গ্রামবাসীদের সংগঠিত করেছেন, ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় সচেতন করেছেন। ২০১৭ সালে গড়ে তুলেছেন দেবলগড় পুরাতত্ত্ব ও লোকসংস্কৃতি সংঘ, গড়েছেন সংগ্রহশালা। গোটা বাংলার গবেষক, উৎসাহীদের কাছে দেবলগড় আজ আকর্ষণের এক উজ্জ্বল কেন্দ্রবিন্দু। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের প্রবন্ধে ভূপ্রত্নবিদ্যা তথা দেবলগড়কে উপস্থাপন করেছেন বহুবার। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে দেবলগড় প্রত্নক্ষেত্রের প্রথম মৌলিক গ্রন্থ—‘দেবলগড়-আনুলিয়া প্রত্নক্ষেত্র হারানো এক রাজধানীর সন্ধানে’। বর্তমান গ্রন্থে সম্পাদক গ্রথিত করেছেন ভিন্ন মতের, ভিন্ন সম্ভাবনার এক সম্পূর্ন চালচিত্রকে। তথ্য ও যুক্তির বিশ্লেষণে আর সমন্বয়ে, প্রাচীন এই রহস্যময় প্রত্নক্ষেত্রের অবহেলিত স্বরূপ উদ্ধারই এ গ্রন্থের একমাত্র উপজীব্য।

গাড়োয়াল হিমালয়ে ভারত ও লোক-মহাভারত

 

ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

 

উত্তরাখণ্ড রাজ্যের ‘দেবভূমি’ গাড়োয়াল হিমালয় বাঙালির প্রিয় ভ্রমণ, ট্রেকিং ও অ্যাডভেঞ্চার স্থান। তুষার শুভ্র শৃঙ্গ, পর্বতমালা, নদী, বনজঙ্গল, পশুপাখি, পাহাড়ি গ্রাম—প্রকৃতি অকৃপণ। কিন্তু মানুষের চেতনার সাক্ষ্য ছাড়া প্রকৃতির অস্তিত্ব কোথায়? সুতরাং হিমালয়ের মানুষ ও তাঁদের সংস্কৃতি জানা ছাড়া হিমালয় দর্শন সম্পূর্ণ হয় না। ধ্রুপদি মহাভারত অনুযায়ী গাড়োয়াল হিমালয়, মহাভারত কাব্যের ও পাণ্ডবদের জন্ম এবং বহু কর্মস্থান। শিব-পার্বতী, নর-নারায়ণের আবাস। এই কারণেই মহাভারতচর্চায় গাড়োয়াল হিমালয়ের আলাদা গুরুত্ব। এই গ্রন্থে লেখক তাঁর নিজ ভ্রমণ ও ট্রেকিং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেছে নিয়েছেন কয়েকটি অঞ্চল, যার মধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে তিনি লোক-মহাভারত সন্ধানে ফিল্ড-ওয়ার্ক করেছেন। হিমালয় সংক্রান্ত ভ্রমণ কাহিনি অনেক আছে। কিন্তু স্থল-পুরাণ ও লোক-মহাভারত বিষয়ক গবেষণা গ্রন্থ খুব বেশি নেই। এই গ্রন্থ সেই ঘাটতি পূরণ করার প্রচেষ্টা। গাড়োয়াল হিমালয় যারা ভালোবাসেন, এই গ্রন্থে সেই সমস্ত পরিচিত ও অল্প পরিচিত স্থানের ইতিহাস, স্থল-পুরাণ ও লোক-মহাভারতের ধ্রুপদি মহাভারতের সাথে তুলনামূলক অবস্থান জেনে তাঁদের হিমালয় ও মহাভারত প্রীতি আরও বর্ধিত হবে। এই আশা নিয়েই লেখকের এই গ্রন্থ।

 
HARD BOUND
ISBN:  978-81-963350-0-7

FREE DELIVERY

360Add to cart

ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্ম: ২৮.০৮.১৯৭০। পৈত্রিক বাড়ি: মানকুন্ডু, হুগলী। স্কুল শ্রীঅরবিন্দ বিদ্যামন্দির, চন্দননগর। শ্রীরামপুর মিশনারি কলেজ থেকে স্নাতক। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫-এ ইংরাজি সাহিত্যে এমএ এবং ১৯৯৮ সালে হুগলী মোহসিন কলেজ থেকে আইন পাশ। WBCS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৮-এ মুর্শিদাবাদ লালগোলা ব্লকে সি ডি পি ও হিসাবে কর্মজীবনের সূচনা। ২০০১-এ ‘কল্যাণী মহাবিদ্যালয়’ কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক পদে যোগদান। বর্তমানে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসার ও বিভাগীয় প্রধান। শখ: পড়াশোনা, লেখালেখি, ফটোগ্রাফি, লোক-সংস্কৃতি, ভ্রমণ ও ট্রেকিং। বাংলা ও ইংরেজি বই লিখেছেন, মহাভারত গবেষণামূলক পেপার নানা জার্নালে ও সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে। ওয়েবজিনে এবং ব্লগে নিয়মিত লেখেন। প্রকাশিত বাংলা বই—‘মহাভারত কথা: পাণ্ডব জন্ম রহস্য’ (২০১৫) এবং ‘ভারত রহস্য: ইতিহাস ও জনশ্রুতি’ (২০২৩)।

কাশীর রামলীলা:
এক ধর্মানুষ্ঠানিক লোকনাট্য পরম্পরা

রামলীলা—ভারতের প্রায় প্রতিটি প্রদেশেই একসময় এই লোকনাট্যটি সেই প্রদেশের আঞ্চলিক ভাষায় ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হত। রামলীলা-দর্শনে গ্রামের মানুষের বিনোদনের পাশাপাশি পুরাণ শিক্ষাও হত—রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব যাকে বলেছেন ‘লোকশিক্ষে’। কালের কবলে যান্ত্রিক সভ্যতার থাবা এই গ্রামীণ লোকশিক্ষার বহ্মান ধারাটিকে আঘাত করেছে সত্য, কিন্তু বিনাশ করতে পারেনি। ‘কাশীর রামলীলা’ বিগত চারশো পঞ্চাশ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে এই লোকশিক্ষার ধারাটিকে সজীব রেখেছে। ভারতীয় ঐতিহ্যের এমন প্রাচীন উদাহরণ খুবই স্বল্প।

বর্তমান গ্রন্থটি ‘কাশীর রামলীলা’র আনুপূর্বিক তথ্যনিষ্ঠ বিবরণ। বাঙালি পাঠক তাঁদের প্রিয় কাশীধামের এই অনুপম বৈশিষ্ট্যটি জানতে পেরে আশা করা যায় খুশিই হবেন এবং একবার চাক্ষুষ করতে চাইবেন।

HARD BOUND 

ISBN: 978-81-956794-6-1

FREE DELIVERY

360Read more

জয়দেব দাস

জয়দেব দাসের জন্ম ১ জুন, ১৯৭৭, কাশী অর্থাৎ আজকের বারাণসী বা বেনারসে। তাঁর শৈশব কেটেছে কাশীর বাঙালিটোলায়, যে-জায়গা রানি ভবানীর স্মৃতিবিজড়িত। কাশীর বাঙালিটোলার স্কুল থেকেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর ‘নাট্য’ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন মহাত্মা গান্ধি কাশী বিদ্যাপীঠ, বারাণসী থেকে। ‘সিনেমা ও রঙ্গমঞ্চবিষয়ক’ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন মহাত্মা গান্ধি আন্তর্জাতিক হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্ধা থেকে। বারাণসীতে জন্ম এবং বেড়ে উঠার কারণে ‘কাশীর রামলীলা’কে তিনি শুধু ঘনিষ্ঠভাবেই দেখেননি, এর সঙ্গে বিভিন্ন অনুষঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়েও থেকেছেন। বর্তমান গ্রন্থটি তাঁর পরিশ্রমলব্ধ গবেষণার একনিষ্ঠ ফসল।

 

কেননা কুয়াশা আজ প্রত্যেকের মনে

 

কণাদ সিংহ

 

প্রতিটি পাঠে ব্যাস-বাল্মীকি আমাদের দাঁড় করিয়ে যান তথ্যের পাশাপাশি সত্যের আয়নার সামনে। সমকালীন রাজ্য, দেশ, পৃথিবীর রণ-রক্ত-সফলতা ঘেরা দুঃসময় নতুন করে সংলাপ করায় মহাকাব্যের বা ইতিহাসের চরিত্রদের সাথে। এই সংলাপ ঐতিহাসিক সংলাপ নয়, ব্যক্তি অনুভবের। এই বই তৈরি হয়েছে এক কুয়াশাচ্ছন্ন সময়ে দাঁড়িয়ে পুরাণেতিহাসের চরিত্র ও মুহূর্তদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সংলাপের ভাষ্য হিসাবে। কিছু কবিতায় উঠে এসেছে সমকালীন বাস্তবতার প্রত্যক্ষ অভিঘাত, যা প্রতিনিয়ত বিনির্মিত করছে আমাদের ইতিহাসবোধকে।

PAPERBACK

ISBN: 978-81-956794-3-0

FREE DELIVERY

176Add to cart

কণাদ সিংহ

ইতিহাসবিদ, প্রাবন্ধিক, কবি কণাদ সিংহ কলকাতার সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন ভারতীয় ও বিশ্ব ইতিহাসের শিক্ষক। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর মহাভারত ও ইতিহাস-পুরাণ পরম্পরা বিষয়ক গবেষণার গ্রন্থরূপ ফ্রম দাশরাজ্ঞ টু কুরুক্ষেত্র: মেকিং অফ আ হিস্টোরিকাল ট্র্যাডিশন (অক্সফোর্ড, ২০২১) কারোয়াঁ বুক প্রাইজ (২০২২) পেয়েছে। ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেস তাঁকে দু-বার (২০১৬, ২০১৭) বিজয়কুমার ঠাকুর স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত করেছে। কণাদ স্টেট, পাওয়ার অ্যান্ড লেজিটিমেসি: দ্য গুপ্ত কিংডম (প্রাইমাস, ২০১৯) বইটিরও অন্যতম সম্পাদক।

এক বিস্মৃত পণ্ডিতের গল্প

 

প্রাণকৃষ্ণ মিশ্র

সম্পাদনা: সর্বজিৎ যশ

 

ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি পণ্ডিত তারানাথ তর্কবাচস্পতি আজ বিস্মৃত-প্রায়। সারাজীবন তিনি দেশে সংস্কৃত শিক্ষার প্রসারে মূল্যবান ভূমিকা পালন করেছেন। দীর্ঘদিন সংস্কৃত কলেজে অধ্যাপনার কাজেই কেবল সফল নন, দেশীয় শিল্প; বিশেষত বস্ত্র শিল্পের উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। একাধারে তিনি ছিলেন সেকালের শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত, অন্যধারে বাংলার একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তাঁর জীবন-সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও কর্মদ্যোগী মনোভাব যা আজও নতুন প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় হওয়া উচিত, তা এই গ্রন্থে চিত্রিত হয়েছে।

 

ISBN: 978-81-956794-5-4

PAPER BACK

FREE DELIVERY

144Add to cart

প্রাণকৃষ্ণ মিশ্র

প্রাণকৃষ্ণ মিশ্র-র জন্ম বর্ধমান জেলার উচ্চালন গ্রাম পঞ্চায়েতের একলক্ষ্মী গ্রামে, ২২ জানুয়ারি, ১৯৭৬ সালে। কৈশোরের শুরুতেই পিতার চাকুরীসূত্রে তিনি গঙ্গা তীরবর্তী অম্বিকা কালনায় চলে আসেন এবং এখানেই স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পর্যায় উত্তীর্ণ হবার পর নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘সামাজিক কাজ’ (MSW) বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাঠ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তিনি কালনা পৌরসভায় কর্মরত। এর আগে কালনা ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন। ভ্রমণ পিপাসু এই লেখক বাউন্ডুলের মত পাহাড়ে পর্বতে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন। তার লেখা ভ্রমণ-কাহিনি আনন্দবাজার, সাপ্তাহিক বর্তমান সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত। প্রথম বই “পায়ে পায়ে পাহাড়ে” (প্রকাশকাল–২০২০) যা পাঠকমহলে অত্যন্ত প্রশংসিত।

তথ্যচিত্র: ইতিহাস, তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ

 

লিপিকা ঘোষ

 

চলচ্চিত্রের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই তথ্যচিত্রের আবির্ভাব। অল্প কিছুদিনেই ভারত তথা বাংলায় আগমন আর হীরালাল সেনের হাতে লালিত হওয়া। বিশ্ব চলচ্চিত্রের আঙ্গিনায় বিস্তর চর্চা ও সবাক যুগে তার বিবর্তন। ভারতে ফিল্ম সোসাইটি ও ফিল্মস ডিভিশনের প্রতিষ্ঠার ফলে নতুন করে প্রতিষ্ঠা পাওয়া।  রাষ্ট্র, রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতিকে কাঁধে নিয়ে তার কঠিন পথ চলা। নিজেকে শক্তিশালী মাধ্যম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার দীর্ঘ ইতিহাস ও এমন এক শক্তিশালী মাধ্যমকে সাধারণ দর্শকের কাছে পৌঁছে দেবার উপায় অনুসন্ধানে এই গ্রন্থ ‘তথ্যচিত্র: ইতিহাস তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ’।

HARD BOUND

ISBN: 978-81-956794-4-7

FREE DELIVERY

360Add to cart

লিপিকা ঘোষ

লিপিকা ঘোষ-র জন্ম ১৯৭৫ সালের ৪ আগস্ট। লেখিকা পেশায় শিক্ষিকা। তিনি নিয়মিত লেখেন অন্যস্বর, গুরুচণ্ডা৯ পত্রিকা ও ইতিহাসের আড্ডা পোর্টালেও। লেখেন সানন্দা পত্রিকাতেও। স্কটিশচার্চ কলেজের ছাত্রী পরবর্তীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন বাংলা ও ইতিহাস বিষয়ে। অভিনয়ে ডিপ্লোমা করেন কলকাতার NITS Film & Fashion School (A Unit of National Institute of Technical Studies) থেকে। ধ্রূপদী নৃত্যে পারদর্শী লেখিকা মঞ্চ ও দূরদর্শনে অভিনয়ের সূত্রে সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে বিশেষভাবে পরিচিত। যুক্ত আছেন ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলনের সঙ্গেও। তাঁর লেখার বিষয় মূলত লোকসাহিত্য, ইতিহাস ও চলচ্চিত্র। এই বইটি লেখিকার প্রথম মৌলিক কাজ।

পঞ্চকথা

তুষার মুখার্জী

মহাকাব্যের কোনও ক্ষয় নেই, নেই তার প্রক্ষেপহীন কোনও আদিরূপ। স্থান ও কাল ভেদে তা ভাষা, চরিত্র, রীতি ও বাস্তবতাকে গ্রহণ করে পরিবর্তিত হয়। যুগের দর্শন প্রকাশিত হয় নবচেতনায় জারিত নবনির্মাণে। মহাভারতকে উপলক্ষ করে এই সংকলন সাজানো হয়েছে তেমনই পাঁচটি ভিন্ন স্বাদের গদ্য নিয়ে। এই রচনার মূল উপজীব্য বাস্তবতা। ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ—এই চার পুরুষার্থের আধ্যাত্মিক জীবনের বাইরেও যে একটি শাশ্বত নৈতিক অবস্থিতি আছে, তা এই সংকলনে তুলে ধরা হয়েছে। মসৃণ শব্দমালায় লেখা ও জটিল কাহিনিজাল ছিন্ন করে অত্যন্ত সহজভাবে নির্মিত এই কাহিনিপঞ্চক বর্তমান প্রজন্মের পাঠককে আকৃষ্ট করবে, এতে কোনও সন্দেহ নেই।

HARD BOUND

ISBN: : 978-81-956794-2-3

FREE DELIVERY

 

280Add to cart

তুষার মুখার্জী

তুষার মুখার্জী জন্মগ্রহণ করেন অসমের গুয়াহাটি শহরে। এরপর শিক্ষাজীবনে ও নির্মাণশিল্পের কারিগরি বিভাগে চাকরি সূত্রে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেছেন। মিশেছেন দেশ-বিদেশের নানা ভাষাভাষী, ধর্মীয়, সামাজিক ও আর্থিক পরিস্থিতির মানুষের সঙ্গে। আজীবন সঙ্গী থেকেছে ক্যামেরা আর বই। বর্তমান অবসর জীবনে বাস করেন কলকাতার নিকটেই। এখন ডুবে আছেন মহাভারত আর সুমেরীয় উপাখ্যানে। সেই সঙ্গে ভারতের প্রাচীন ইতিহাস আর পৃথিবীর নানা প্রান্তের শিকারি-সংগ্রাহকদের জীবনযাত্রায়। শতাধিক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। আজও এই বিষয়গুলি চর্চার মধ্যে দিয়ে বিরামহীন আগ্রহে খুঁজে চলেছেন এক অদৃশ্য যোগসূত্র।

ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ

 

গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়

 

ন্যানোপ্রযুক্তি, নিউক্লিয় প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জৈবপ্রযুক্তির মতো যে আধুনিক প্রযুক্তিগুলি আমাদের চেনা পৃথিবীকে প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন করে দিচ্ছে, তাদের সম্পর্কে কিছু কথা এই বইতে পাওয়া যাবে। প্রথম শিল্পবিপ্লবের প্রাণ ছিল বাষ্পশক্তি; তিন শতাব্দী পরে ন্যানোপ্রযুক্তি আমাদের পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু  যুগান্তকারী যে কোনো নতুন উদ্ভাবন যেমন অভূতপূর্ব সম্ভাবনার সৃষ্টি করে, তেমনি নতুন নতুন সমস্যারও জন্ম দেয়। সেই সমস্ত সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়েই এই সংকলন।

HARD BOUND

ISBN:- 978-81-956794-1-6

 FREE DELIVERY

 

200Add to cart

গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়

গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক, গবেষণার বিষয় নিউক্লীয় এবং জ্য্যোতির্পদার্থবিদ্যা। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ, বিজ্ঞানের ইতিহাস ও দর্শন বিষয়ে উৎসাহী। বর্তমানে তিনি আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রতিষ্ঠিত বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের কর্মসচিব। সাধারণ মানুষের জন্য বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি করতে ভালবাসেন, সেই বিষয়ে কয়েকটি বই ও প্রবন্ধসংকলন প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ছোটদের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক গল্পের চারটি বইও তিনি লিখেছেন।

ইদম্‌ অমৃতম্‌

পূর্বা সেনগুপ্ত

 

‘ইদম্‌ অমৃতম্‌’ গ্রন্থটি মূলত পৌরাণিক কাহিনির সমাবেশ। গ্রন্থে বর্ণিত গল্পগুলি নিজের ছন্দে লেখা। তাই প্রচলিত ধারণাকে হয়তো নতুন রূপে পরিবেশনের আভাস তৈরি করবে। কাহিনি কথকথার সময় তার বিস্তার অতিদীর্ঘ করা হয়নি আবার কৃপণতা করে বিস্তারকে সংকুচিত করাও হয়নি। গ্রন্থের প্রথমেই সৃষ্টি রহস্য নিয়ে কয়েকটি প্রবন্ধ রচিত হয়েছে। মহাভারতের কাহিনিগুলিতে বিভিন্ন চরিত্র বর্ণিত হয়েছে। নারী চরিত্র বর্ণিত হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে।

গ্রন্থের আরেক দিক হল লোককথা বা কাহিনির বর্ণনা। আমাদের সংস্কৃতির পরতে পরতে জড়িয়ে আছে লোককাহিনি। জীবনের প্রথম পাঠ আমরা আমাদের জনজীবন থেকেই আহরণ করি। সেই সহস্র সহস্র লোককাহিনির মধ্য থেকে আমরা কয়েকটি মাত্র তুলে ধরেছি। সব নিয়ে এই গ্রন্থ অমৃত বিতরণের জন্য প্রস্তুত।

HARD BOUND

ISBN: 978-81-956794-0-9

DELIVERY CHARGE INCLUDED

340Add to cart

পূর্বা সেনগুপ্ত

ডঃ পূর্বা সেনগুপ্ত পেশায় গবেষক। রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের ‘ভারততত্ত্ব ও গবেষণা’ বিভাগের সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট। পারিবারিক পরিবেশই তাঁর লেখাপড়া বিষয়ে প্রেরণার উৎস। বাবা প্রশান্তকান্তি সেনগুপ্ত ছিলেন কবি, মুকুল সেনগুপ্ত নামে তিনি ‘অচিনতলা’, ‘যদিও প্রথম কলি’ ইত্যাদি কবিতার বই রচনা করেন। পিতৃসূত্রে লেখিকা অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের মতো সাহিত্যিককে খুব আপনজন হিসেবে পেয়েছেন। যদিও তাঁর প্রিয় বিষয় সমাজবিজ্ঞান বা ভারতীয় সমাজবিজ্ঞান। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী হিসেবে তিনি প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা ডঃ বেলা দত্তগুপ্তের কাছে স্বামী বিবেকানন্দের উপর গবেষণা করার সুযোগ লাভ করেছেন। লেখিকা দীর্ঘদিন ধরে পুরাণ ও মহাকাব্যগুলি নিয়ে নানা গবেষণা করে চলেছেন। সাপ্তাহিক বর্তমান ম্যাগাজিনে ত্রিশ বছরের অধিক সময় ধরে এ বিষয়ে লিখে চলেছেন। ২০১১ সালে শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধকার হিসেবে ‘সুমথ নাথ ঘোষ ও গজেন্দ্রনাথ মিত্র’ পুরস্কার লাভ করেন।

ভারতের প্রথম স্বাধীনতা: এক জাদু-বাস্তব অভ্যুত্থানের গল্প

 
বহ্নিহোত্রী হাজরা

 

আচ্ছা ভারতের কোন স্বাধীন সরকার প্রথম আন্তর্জাতিক মহল থেকে স্বীকৃতি পেয়েছিল? আজাদ হিন্দ! সে তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। তার প্রায় তিন দশক আগেই কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বিদেশের মাটিতে ভারতের দুদুটি স্বাধীন সরকার তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যে আন্তর্জাতিক মহল থেকে স্বীকৃতি পেয়েছিল একটি। তৈরি হয়েছিল ভারতকে স্বাধীন করবার নিজস্ব বাহিনী। এমনকি জয়-হিন্দশব্দবন্ধটিও ব্যবহৃত হয়েছিল বিপ্লবীদের রণসঙ্গীতে। সে এক অন্য ইতিহাস। যার পরতে পরতে লেগে আছে রক্ত-ঘাম-চোখের  জল নিখাদ দেশপ্রেম আর অকৃত্রিম স্বাধীনতার সন্ধান। আর হ্যাঁপ্রায় বিস্মৃত বলে একটা হারিয়ে যাওয়া ঘ্রাণও রয়েছে। এই বইটির ছত্রে ছত্রে সেই মুছে যাওয়া ইতিহাস উঠে এসেছে। এক অনাঘ্রাত স্বাধীনতার সন্ধান।

PAPER BACK

ISBN- 978-81-954007-8-2

Free Delivery

 

200Add to cart

বহ্নিহোত্রী হাজরা

ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চাকরি ছেড়ে লেখার কাজে মনোনিবেশ ঘটানোটা ইতিহাসের প্রতি ভালবাসা ও দায়বদ্ধতা থেকে। বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে ও অন্যান্য পত্রপত্রিকায় বিগত দশ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বহু মৌলিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে; বেশীরভাগ-ই ইতিহাসআশ্রয়ী। মৌলিক কোনও বই আগে প্রকাশিত না হলেও লেখিকার অনুবাদ করা বেশ কিছু বই ভারত ও বাংলাদেশ থেকে আগে প্রকাশিত হয়েছে। এদুয়ার্দো গ্যালিয়ানো, অরুন্ধোতি রায়, কোবাড ঘান্দী প্রমুখের লেখা বইয়ের অনুবাদ পাঠক মহলে যথেষ্ট সমাদর লাভ করেছে। সমস্ত বিকৃতি মুছে দিয়ে দেশবাসীর সামনে তাঁদের-ই সত্যি ইতিহাসকে তুলে ধরা লেখিকার জীবনের অন্যতম মিশন।

জোহার জানলা

প্রোজ্জ্বল পাল

 

জোহা আমিনির একটা ইউটিউব চ্যানেল আছে। জোহার দেশের নাম ইউনাইটেড রিপাবলিক অফ গ্যানোয়া। আর জোহার জীবনের একমাত্র চাহিদা অন্তত একবার ভাইরাল হওয়া।

ওদিকে জোহার দেশে তখন শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। কিশোরী জোহা নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পড়ে সেই যুদ্ধে। ‘ভাইরাল’ হতে গিয়ে কী যুদ্ধাস্ত্র হয়ে যাবে জোহা আমিনি?

 

PAPER BACK

ISBN- 978-81-954007-9-9

Free Delivery

200Add to cart

প্রোজ্জ্বল পাল

প্রোজ্জ্বল পাল। বাড়ি—আগরপাড়া। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিদ্যায় স্নাতক। পেশা—শিক্ষকতা। আর নেশা গল্পের বই আর সিনেমা। অসবর সময়ে লেখালিখি ও ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। সাম্প্রতিক নানা বিষয়, সিনেমা ও বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে লিখতে স্বচ্ছন্দ। এই উপন্যাসে সেই সমস্ত দিকেরই রেখাপাত ঘটেছে।

বাঙালির ‘পশ্চিম’: হাওয়াবদল থেকে উপনিবেশ (১৮৮০ – ১৯৬০)

 

দীপাঞ্জন বাগ

 

বাঙালির ‘পশ্চিম’, লালমাটির দেশ নিয়ে বাংলা ভাষায় পরিচিত মূল্যায়নের অধিকাংশই ‘অতীত দিনের স্মৃতিচারণা ও দীর্ঘশ্বাস’! এই অঞ্চলের বাঙালি প্রভাবিত সময়ের ভৌগোলিক সীমানা, জনবিন্যাসের পরিবর্তন আর স্থানীয় অর্থনীতি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রবাহের নব্য বিশ্লেষণ এই গ্রন্থটির উপজীব্য। ঔপনিবেশিক আমলে রেলপথ বিস্তারের সুযোগে এক সময়ের দেশীয় চাহিদা অনুযায়ী যে কৃত্রিম নগরায়নের সূচনা হয়েছিল, স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক সীমানাবন্টন ও খনিজ অর্থনীতির কারণে সেই উজ্জ্বল বাঙালি-শতক শেষ হতে না হতেই কীভাবে ও কেন এই অঞ্চলের চরিত্র দ্রুত পরিবর্তিত হলো, তার ধারাবাহিক ও যুক্তিগ্রাহ্য কার্য-কারণ সম্পর্ক  তুলে ধরা হয়েছে। সহজ ভাষার মাধ্যমে গ্রন্থটি যেমন সুখপাঠ্য, তেমনই আকরসন্ধানীদের কাছেও এটি সংগ্রহযোগ্য।

HARD BOUND

ISBN: 978-81-954007-7-5

FREE DELIVERY

 

280Add to cart

দীপাঞ্জন বাগ

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ গবেষকদের মধ্যে দীপাঞ্জন বাগ অত্যন্ত পরিচিত ও সম্ভাবনাময় আলোচক। থাকেন হাওড়ার সালকিয়ায়। এম. ফিল.-এ তার লিখিত গবেষণাপত্রটি [‘হাওয়াবদল’ থেকে উপনিবেশ: বাঙালি ও ‘পশ্চিম’ (১৮৮০-১৯৬০)—একটি পর্যালোচনা] বর্তমানে গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত। আধুনিক ভারতের ইতিহাস, ঔপনিবেশিক ও উত্তর-ঔপনিবেশিক পর্বের বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ) তার আগ্রহের মূল বিষয়বস্তু।

বাবুলাল বণিকের অমর কাহিনি

 

শাহ্‌যাদ ফিরদাউস

 

বাবুলাল বণিক একজন নিতান্ত নগণ্য মানুষ, তাঁকে পাগল বললেও অত্যুক্তি হবে না। তথাপি সে এক দুঃসাহসিক পরীক্ষার জন্য আজীবন অপেক্ষা করেছে এবং জীবনে প্রথম সুযোগ পাওয়া মাত্র সর্বস্ব বাজি রেখে সেই পরীক্ষা দিতে নির্দ্বিধায় ঝাঁপ দিয়েছে। সে পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পেরেছে কিনা এ প্রশ্ন অবান্তর তবে সে তার একক পরীক্ষার মাধ্যমে এমন একটি প্রশ্নপত্র তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে যার সমাধান না ক’রে মানুষ এবং মানুষের সভ্যতার পক্ষে একচুলও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়! তার কারণ, মানুষের সভ্যতাকে সভ্যতা বলে চিহ্নিত হতে চাইলে বাবুলালের প্রদর্শিত অবশ্যম্ভাবী প্রশ্নপত্রের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে; দ্বিতীয় কারণ, এ পর্যন্ত মানুষের ইতিহাস সেই কঠিন পরীক্ষায় বসবার সাহস দেখাতে পারেনি!

HARD BOUND

ISBN- 978-81-954007-5-1

Free Delivery

280Add to cart

শাহ্‌যাদ ফিরদাউস

জন্ম ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০। প্রথম জীবনে কবিতা লিখতেন। উভয় বাংলার শ্রেষ্ঠ পত্রপত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। তারপর সিনেমার বিষয়ে উৎসাহী হয়ে উঠলেন এবং এপর্যন্ত বেশ কিছু তথ্যচিত্রসহ ‘তথাগত’ নামে গৌতম বুদ্ধের জীবনের উপর ভিত্তি করে একটি হিন্দি কাহিনিচিত্র তৈরি করেছেন। তাঁর রচনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষকরা তাঁর সাহিত্যকর্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং করছেন। ‘ব্যাস’ উপন্যাসের মাধ্যমে নতুন করে সাহিত্যযাত্রা শুরু হয়। তাঁর উপন্যাস নিয়ে প্রখ্যাত সমালোচক পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায় ‘শাহ্‌যাদ ফিরদাউসঃ উপন্যাসের সন্দর্ভ’ নামে একটি গ্রন্থ লিখেছেন। স্বপ্না পালিত ও স্বপন ভট্টাচার্য ‘মুখোমুখি শাহ্‌যাদ ফিরদাউস’ নামে একটি সাক্ষাৎকার ভিত্তিক গ্রন্থ তৈরি করেছেন। ‘অ-য়ে অজগর’ পত্রিকা তাঁর প্রথম নয়টি উপন্যাস নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে। সাহিত্য এবং চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। কলকাতার রুশ দূতাবাসের সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় পরিচালিত সাহিত্য সংস্থা ‘প্রগতি সাহিত্য সংবাস’-এর সম্পাদক। শান্তি সংগঠন ‘কলকাতা পিস মুভমেন্ট’-এর প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের শিক্ষা দেওয়া ও নেওয়ার প্রতিষ্ঠান ‘পিস স্কুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক।

নৌ-বিদ্রোহের মূহুর্তকাল
অথবা
আজাদ হিন্দীদের কিসসা

 

রক্তিম ঘোষ

গত শতকের চল্লিশের দশক বিশ্ব রাজনীতি তথা ভারতের ইতিহাসের যুগসন্ধি পর্ব। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে প্রচলিত ধারণার অবসান হয়ে বিগত চারশো বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ঔপনিবেশিক প্রথার ভাঙ্গনের শেষ পর্যায় ছিল এই জটিল সময়। সারা পৃথিবীর অন্যান্য পরাধীন দেশগুলির মত ভারতবর্ষেও চলেছিল স্বাধীনতার লড়াই। সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষ, ধর্মীয় বিভাজন, জাতিবিদ্বেষ আর শাসকের নিপীড়ন। সঙ্গবদ্ধ দলীয় প্রতিরোধের সমান্তরালে সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন লাভ করেছিল যে ঘটনাগুলি নৌ-বিদ্রোহ তাদের মধ্যে অন্যতম। এই গ্রন্থে আধুনিক চিন্তনে ও নতুনভাবে সেই অস্থির দিনগুলিকে দেখার প্রচেষ্টা হয়েছে।

PAPERBACK

ISBN- 978-81-954007-6-8

Free Delivery

200Add to cart

রক্তিম ঘোষ

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করেছেন ২০১৮ সালে। বিজ্ঞানের ছাত্র থেকে ইতিহাসে চলে আসা অতীতকে জানার প্রবল আকাঙ্ক্ষা থেকে। ইতিপূর্বে বহু লিটল ম্যাগাজিন এবং পত্রপত্রিকায় লেখালিখি করেছেন। লেখকের কিছু অনুবাদ করা বই আগে প্রকাশিত হয়েছে। নিউ হরাইজন বুক ট্রাস্ট থেকে ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় লেখকের নিজের মৌলিক প্রথম বই ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ: নিঃসঙ্গতার একশ বছর’। সেই হিসাবে এই বইটি লেখকের দ্বিতীয় মৌলিক কাজ।

।। রাঢ় পাঞ্চালিকা।।

বাংলার লোকসংস্কৃতির মূল এতটাই গভীরে, কোনও ইতিহাসের অনুসন্ধিৎসু হাত তার সবখানে পৌঁছাতে পারেনি। কয়েক পা হাঁটলেই যেখানে ভাষারীতি, বাচনভঙ্গি, লোকাচার পালটে যায়, সেই বিশাল জনপদের আনাচে-কানাচে, আঁদাড়ে-বাদাড়ে, খালে-বিলে-নয়ানজুলিতে যে লোকায়ত আচার-বিচার-পরব, শত কথকতা, হাজারো গালগল্প, লাখো ছড়া-টীকা-টিপ্পনী ছড়িয়ে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। তথ্যানুসন্ধান করতে গেলে দেখা যায়, একটি ছোট্ট লোক-শব্দের দরজা দিয়ে ঢুকে এক সাগরভরা মণিমাণিক্যের মধ্যে গিয়ে পড়া গেছে। কী নেই সেখানে! ভাষার তাত্ত্বিক সন্ধান, জনজাতির প্রাচীন ইতিহাসের হাতছানি, তাঁদের যাপনের পরতে জড়িয়ে থাকা শত পরবের সহস্র তরিকা, তাঁদের নিজস্ব লোকাচারের উদ্ভব এবং সমাজজীবনে তার গুরুত্ব, তাঁদের ধর্মাচরণের রূপ এবং পাশাপাশি অন্যান্য জনগোষ্ঠী থেকে তাঁদের উক্ত সব বিষয়ে প্রভেদ—কোনও একটাকে বাদ রেখে অন্য একটার চর্চা অন্ধের হস্তীদর্শনের মতোই হয়। কোনও জনজাতির ইতিহাসের এইরকম সামগ্রিক চর্চা হয়েছে বলে জানা নেই, আমরা এই বইয়ে সে চেষ্টাও করিনি। কিন্তু সেই চর্চা কীভাবে হতে পারে, তার কিছু টুকরো-টাকরা কণা এখানে একত্র করা হয়েছে।

এই বইয়ের প্রবন্ধগুলিতে ব্যবহৃত লোকশব্দ ও অনুরূপ অন্যান্য শব্দগুলি একেকটি সম্ভাবনাময় জাদু-শব্দ, যেগুলির সঙ্গে জড়িয়ে আছে সংশ্লিষ্ট জাতির সুপ্রাচীন ইতিহাসের স্বরূপ, তাদের জনজীবন, তাদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া।

এর যে-কোনো একটা টুকরোয় ঠিকমতো হাত রাখতে পারলে খুলে যাবে সংশ্লিষ্ট জাতির জনজীবন-চর্চার সামগ্রিক ইতিবৃত্তের জাদু-দরজা। পাঠককে সেই দরজাটির কাছে পৌঁছে দেওয়া এই অক্ষর-বন্ধনের এক প্রধান উদ্দেশ্য।

গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী রাঢ় অঞ্চলের লোক-ইতিহাস, লোক-সংস্কৃতি, লোক-ভাষা, গাছপালা, দেবদেবীর কথা, বার-ব্রত, পাল-পাবর্ণ, জনপদ বৃত্তান্ত ইত্যাদি নিয়ে বিশিষ্ট গবেষক এবং ক্ষেত্র সমীক্ষক স্বপনকুমার ঠাকুর-র মোট ২২টি লেখার সংকলন গ্রন্থ ‘রাঢ় পাঞ্চালিকা’। পাঁচটি বিভাগে লেখাগুলি বিন্যস্ত হয়েছে।

যেমনঃ রাঢ় পাঞ্চালিকা, বৃক্ষপুরাণ, ব্রাত্য মঙ্গল, পা-চালির কথকতা এবং দেবখণ্ড। প্রতিটি লেখায় জড়িয়ে আছে শিকড়-বাকড়ের গন্ধ… মা-মাটি-মানুষকে নিয়ে পা-চালির মায়াবি কথকতা।

অত্যন্ত যত্ন নিয়ে সম্পাদনা করেছেন পার্থ কর।

 

     FREE DELIVERY

200Add to cart

ড. স্বপনকুমার ঠাকুর

ড. স্বপনকুমার ঠাকুর, জন্ম-পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পুরাকীর্তি-সমৃদ্ধ বুঁইচি গ্রামে। তিনি বাবা-শ্যামসুন্দর ও মা পুষ্পরানীর কনিষ্ঠ সন্তান। পেশায় পূর্ব বর্ধমান জেলার দাঁইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক। নেশা ক্ষেত্রগবেষণা। প্রিয় বিষয় রাঢ়-বাংলার আঞ্চলিক ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি। বিবিধ পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখেন।রচনা করেছেন ১৫টি বই। বাঙ্গলার ইতিহাসে কাটোয়া, ইন্দ্রাণীর ইতিকথা, রাঢ় কথাঃ মননে ও সমীক্ষণে, বঙ্গে বর্গিহাঙ্গামা ইতিহাস ও কিংবদন্তী, বাংলার মুখ, বাংলার লোক-ইতিহাস ও লোক-সংস্কৃতি, রাঢ় বাংলার কবিগান, বাংলার কৃষিকাজ ও কৃষিদেবতা, দেবদেবীর বিয়ে... ইত্যাদি। কৌলাল অনলাইন ওয়েবসাইট ও প্রিন্ট কৌলাল পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। পুরষ্কার ও সংবর্ধনা পেয়েছেন একাধিক সারস্বত প্রতিষ্ঠান থেকে। যেমনঃ কলকাতা প্রণয়-স্মারক পুরষ্কার, নবদ্বীপ পুরাতত্ত্ব পরিষদ সংবর্ধনা ইত্যাদি। কলিকাতা লিটিল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে পেয়েছেন সারস্বত সম্মাননা।

ভারতবর্ষের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯২৫ সালের ৯-ই আগস্ট রাতে কাকোরী স্টেশনের কাছে সাহারানপুর-লখনউ প্যাসেঞ্জার ট্রেনে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ইতিহাসের পাতায় আর সরকারি নথিপত্রে যা ‘কাকোরী ট্রেন ষড়যন্ত্র’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। উত্তর ভারতের হিন্দুস্থান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন আর বাংলার অনুশীলন সমিতির মতো দুটো ভিন্নধর্মী বিপ্লবী দলের  দশজন অকুতোভয় মহাসংগ্রামীর  সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফল ভাবে সংঘটিত হয়েছিল সেই রোমহর্ষক অবিশ্বাস্য ঘটনা। একটা চলন্ত সরকারি ট্রেনকে মাঝ রাস্তায় থামিয়ে সরকারি অর্থ লুন্ঠন করে সেই অর্থ সরকারের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করার মতো কাণ্ড শুধু পরাধীন ভারতবর্ষে কেন সারা বিশ্বের যে কোনো স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিরলের মধ্যেও  বিরলতম ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার পর  ১৯২৭ সালের ১৭-ই ডিসেম্বর  রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ি আর ১৯-শে ডিসেম্বর   বিপ্লবী পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল, ঠাকুর রোশন সিংহ এবং আশফাকুল্লা খানকে ফাঁসিতে ঝোলানো হলো। এর বেশ কিছুদিন বাদে ১৯৩১ সালের ২৭-শে ফেব্রুয়ারি এলাহাবাদের আলফ্রেড পার্কে বিরাট পুলিশ বাহিনীর সাথে মরণপণ লড়াইয়ের শেষে  রিভলবারের শেষ গুলিটা নিজের মাথায় চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন কাকোরী ট্রেন ডাকাতির সাথে সরাসরি যুক্ত আরেক মহাবিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদ | কিন্তু মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে শহিদ চন্দ্রশেখর আজাদের মৃত্যু আজও গভীর রহস্যের অবগুন্ঠনে ঢাকা।  সেদিন সেখানে তাঁর উপস্থিতির কথা পুলিশ জানলো কীভাবে? কে ছিল সেই বিশ্বাসঘাতক?

সেই প্রশ্নগুলো নিয়েই বিশিষ্ট গবেষক আনন্দ চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘ গবেষণার ফসল এই বই “কাকোরী ট্রেন ষড়যন্ত্র”।

PAPERBACK

ISBN- 978-81-954007-3-7

Free Delivery

200Add to cart

আনন্দ চট্টোপাধ্যায়

বইয়ের লেখক শ্রী আনন্দ চট্টোপাধ্যায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও পেশায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আধিকারিক। এছাড়াও তিনি ভারতীয় ইতিহাস সম্পর্কে স্বাধীন ভাবে অধ্যয়ন ও গবেষণার কাজে যুক্ত। এর পূর্বে প্রকাশিত লেখকের ‘শতাব্দীর সেরা দ্বৈরথ’ ও ‘একাত্ম মানববাদের প্রতীক দীনদয়াল উপাধ্যায়’ বই দুটি পাঠক মহলে বিশেষ সমাদৃত। তাঁর বহু প্রবন্ধ ও লেখা ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে হাওয়াই এক অপূর্ব সুন্দর দ্বীপপুঞ্জ। শুভ কাজ করে সেখানে এক অভিজাত রিসর্টে। লসএঞ্জেলস থেকে বিমানে হিলো যাচ্ছিল সে। হঠাৎ মাঝ সমুদ্রে ভেঙে পড়ল বিমানটি। কী হয়েছিল সেখানে? নিছকই দুর্ঘটনা, না কোন ষড়যন্ত্র? বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী ছিল শুভ। পৃথিবীর সব থেকে বড় মহাসমুদ্রের মাঝে ভেঙে পড়া বিমান থেকে কীভাবে বাঁচল সে? কিন্তু তার তো বাঁচার কথা নয়! ডঃ ভৌমিকের আবিষ্কৃত “মিলারেডস্টিন” আসলে কী? কেন সেটা দখল করার জন্য দুনিয়ার তাবড় সব ধনকুবের আর মাফিয়ারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে? তানিয়া আর অভিজিৎ কি পারবে পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে থাকা এই রহস্যের জাল ভেদ করতে?

মার্শাল ডাসফারগাস ছিলেন সতেরশো শতকের এক ফরাসী জেনারেল। তাঁর কাছে ‘লিওনার্দো দা ভিঞ্চি’র ডিজাইন করা একটি বিশেষ ধরনের পিস্তল ছিল, যেটা নাকি তিনি পেয়েছিলেন তাঁর পারিবারিক সূত্রে। তেমন পিস্তল এখন পৃথিবীতে আর নেই। এক ফরাসী নাবিকের পুরানো ডায়রিতে লেখা আছে সেই ঐতিহাসিক পিস্তলটির হদিস। কিন্তু চন্দননগরের পাদ্রী কেন খুন হলেন হঠাৎ? আর ডায়রিটাই বা গেল কোথায়? রহস্যের জাল বিছিয়ে আছে থাইল্যান্ডের ফুকেত পর্যন্ত। তানিয়া কীভাবে উদ্ধার করবে দা-ভিঞ্চির পিস্তল আর থাইল্যান্ডের রাজা নারাইয়ের হারিয়ে যাওয়া গুপ্তধন?

অষ্টম শতাব্দীর পাল রাজাদের আমল। একদল তিব্বতি ব্যবসায়ী আর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী জিনিস পত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন তাম্রলিপ্তের পথে। একদল দস্যু রাতের অন্ধকারে আচমকা আক্রমণ করল তাঁদের। সবাই প্রায় মারা গেলেন। তাঁদের কাছে সোনাদানা আর দামী পাথর ছাড়াও ছিল একটি এক হাত লম্বা মণিমুক্তা খচিত সোনার তৈরি বুদ্ধের দশম অবতার, ‘বজ্রপাণি’র মূর্তি। সেটি তাঁরা নিয়ে যাচ্ছিল সুমাত্রার রাজাকে উপহার দেওয়ার জন্য। ডাকাতদের আক্রমণের সময়ে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী স্থানীয় একটি কৃষ্ণ মন্দিরের গর্ভগৃহে মূর্তিটি লুকিয়ে রাখেন। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত জিনিসটি আর কেউ খুঁজে পায়নি। তানিয়া আর অভিজিৎ কি উদ্ধার করতে পারবে মূর্তিটি?

PAPERBACK

ISBN- 978-81-954007-1-3

Free Delivery 

200Add to cart

পুষ্পেন মণ্ডল

পুষ্পেন মণ্ডল একজন সফল ব্যবসায়ী হয়েও লেখার ভূতকে কখনও মাথা থেকে বিতাড়িত করেননি। একদিকে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের জন্য কাজ করে চলেছেন 'খুশির ঝুলি' নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে। আবার রুকস্যাক পিঠে বেঁধে যখন তখন বেরিয়ে পড়েন পাহাড়ে, জলে, জঙ্গলে। বিভিন্ন কিশোর পত্রপত্রিকায় তাঁর লেখা বের হয় নিয়মিত। লেখাটা তাঁর নেশা, কর্মব্যস্ত জীবনের মধ্যে যেটা তিনি উপভোগ করেন তারিয়ে তারিয়ে। প্রকাশিত বই 'সমুদ্রগুপ্তের তরবারি', 'আডোকাকামিকে', 'কাবাক্রব্যাদ' ও ‘মিলারেডস্টিন’।

ভাই তোর রসিকদাদার মুখের ঐ রোগটা কিছুতেই ঘুচল না। কথা নেই বার্তা নেই প্রফুল্ল হয়েই আছে’ রবীন্দ্র নাটকের রসিকদাদার মুখের এই বানীই এই বইয়ের মূল কথা। রসিকদাদা চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথের ‘চিরকুমার সভা’ নাটকের একটি চরিত্র।  জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে হাসির প্রয়োজন আছে। আবার এই হাসিগুলো লুকিয়ে আছে আমাদের জীবনযাত্রার মধ্যেই। সেই জীবন থেকেই উঠে এসেছে চরিত্রগুলো – শান্তিলাল, নন্দরাম, লিট্টি, তেঁতুল, আলতাফ মামা। এরা আমাদের মধ্যেই আছে। আমাদের রোজের বেঁচে থাকার মধ্যেই এরা আছে। এই পৃথিবী শুধু হাসির নয় আবার শুধু কান্নারও নয়। এই পৃথিবী হাসিকান্নার। রসিকদাদার দরবারে আসলে একটা মেঘের পৃথিবী। এই পৃথিবীতে মেঘগুলো শুধু ভেসেই বেড়ায় না। কখনো খুব ঘন হয় মেঘ। কখনো নেমেও আসে।

PAPERBACK
ISBN- 978-81-954007-2-0
  Free Delivery 

200Read more

চিরন্তন ভট্টাচার্য

জন্ম ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম তেলিবেড়িয়াতে। বর্তমান নিবাস কলকাতার যাদবপুরে। কর্মসূত্রে চাকুরীজীবী। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক সমালোচনা এবং রম্য রচনা ইত্যাদি নানাপ্রকারের লেখাগুলি ‘দেশ প্রসঙ্গ, ঢাকা, বাংলাদেশ’, ‘সব্যসাচী, কলকাতা, ভারত’, ‘ওয়াশিংটন বাংলা রেডিও অন ইন্টারনেট, আমেরিকা যুক্তরাস্ট্র’ এবং আরও অনেকগুলি পত্রিকাতে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। এই লেখকের ‘নেকড়ে’, ‘চৈতন্য চিহ্ন, ‘পেঙ্গুইন দ্বীপ’, ‘ফিলাডেলফিয়া’ প্রভৃতি গল্পগুলি পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছে। নিজেকে লেখক নয় বরঞ্চ একজন পাঠক হিসেবে পরিচয় দিতেই তিনি ভালোবাসেন।